সত্যিই কি ভুতুড়ে স্টেশন বেগুনকোদর ? (Begunkodor story in Bengali : Story of the Most Hunted Rail Station of India as well as World )
সন্ধ্যের পর অন্ধকারের মধ্যে আজও একাকী দাঁড়িয়ে থাকে ভূতের স্টেশন বেগুনকোদর । স্থানীয় লোকজনের কাছে ভূত স্টেশন নামেই পরিচিত । কেন ? সে এক গল্প ।
রাত বাড়লেই বাতাসে কেমন সন্দেহজনক গন্ধ, কারা যেন ফিসফিসিয়ে কথা কয় ৷ দিনদুপুরেও স্বস্তি নেই ৷ সুনসান স্টেশনটায় কাদের যেন পায়ের শব্দ, কে যেন গা ঘেঁষে চলে যায় ৷ ভারতের পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে বেগুনকোদর স্টেশন ঘিরে এমন গা ছমছমে গল্প বহু পুরোনো ৷
ইন্টারনেট খুললেই চোখে পড়বে সারা বিশ্বে ভুতুড়ে স্টেশনগুলির মধ্যে একেবারে পয়লা নম্বরে রয়েছে পুরুলিয়ার অখ্যাত এই স্টেশনের নাম ৷ ভূতের ভয়েই ১৯৬৭ সাল থেকে টানা চার দশক এই স্টেশনে কোনও ট্রেন চলেনি ৷
দক্ষিণপূর্ব রেলের রাঁচি ডিভিশনের পুরুলিয়ার ঝালদা থানা এলাকায় এই স্টেশন । এই স্টেশন ঘিরে রয়েছে নানা গা–ছমছম কাহিনী । তা নিয়েই রয়েছে নানা প্রশ্নও ।
তবে স্থানীয় মানুষ থেকে রেলকর্তারা কেউই বিস্তারিত বলতে চান না । সন্ধে নামলেই ওই স্টেশনের ত্রিসীমানায় দেখতে পাওয়া যায় না কাউকে । স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৫টা ৫০ নাগাদ বোকারো শাখার রাঁচি–চন্দ্রপুরা–ধানবাদ প্যাসেঞ্জার থামে । তার পর আর কোনও ট্রেন থামে না । কারণ রেল থেকেই কোনও ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হয়নি এখানে । একসময় পুরুলিয়ার এই স্টেশনে থামত প্রচুর ট্রেন । সারা দিন মানুষের ভিড়ে গমগম করত স্টেশন । কিন্তু আজ সব অতীত । দিনের বেলাতেও ট্রেন চলে যাওয়ার পর স্টেশনের চারদিক শুনশান । শুধু দাঁড়িয়ে থাকে শতাব্দীপ্রাচীন স্টেশনের পাকাবাড়িটি ।
প্রবীণ সনাতন কুমার বলেন, একসময় বড় স্টেশন অফিস, কোয়ার্টার, এমনকি জমজমাট বাজার ছিল । থামত সব প্যাসেঞ্জার ট্রেন । তার পর হঠাৎ কী যে হয়ে গেল ! লোকমুখে শোনা যায়, বহু বছর আগে একদিন মধ্যরাতে এখানে খুন হন স্টেশন মাস্টার ও তাঁর স্ত্রী । পরে স্টেশনের কাছে এক কুয়োর মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁদের মৃতদেহ । সেই থেকেই নাকি অশরীরী কার্যকলাপের শুরু । ওই ঘটনার পর রাতারাতি পালিয়ে যান রেলকর্মীরা । বন্ধ হয়ে যায় স্টেশনে ট্রেন থামা । শোনা যায়, ওই ঘটনার পর থেকেই ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত এক স্টেশনে পরিণত হয় জমজমাট বেগুনকোদর ।
১৯৬৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এমনই দশা চলে । তবে, এই সময়সীমায় বেগুনকোদর স্টেশন চালু করার কথা যে একেবারেই ওঠেনি, এমন কিন্তু নয় ! বামফ্রন্টের প্রাক্তন সাংসদ বাসুদেব আচার্য এই রেল স্টেশন চালু করার চেষ্টা করেছিলেন । তাঁর যুক্তি ছিল, ভূতের ভয় বাজে কথা৷ গ্রাম থেকে অনেক দূরের ওই স্টেশনে একটাই ট্রেন চলত ৷ সে জন্য কেউ ওখানে কাজ করতে চাইত না ৷ তাই এই ভৌতিক উপদ্রবের রটনা ! তার পর, ২০০৯ সালে ফের শুরু হয় বেগুনকোদরের সেকেন্ড ইনিংস ।
নানা আতঙ্কের মধ্যে স্টেশন ফের শুরু করার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন । তৎকালীন রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বাসুদেব আচারিয়ার উদ্যোগে ২০১০ সালে আবার খোলে বেগুনকোদর স্টেশন, স্টপেজ দেওয়া হয় তিনটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ।
পুরনো স্টেশন-বাড়িটাকেই রং করে খুলে দেওয়া হয় । শুধু প্যাসেঞ্জার হল্ট হিসেবে !
তাহলে এখন ঠিক কী অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে বেগুনকোদর ? এখন কি আর তা পশ্চিমবঙ্গের সব চেয়ে কুখ্যাত ভৌতিক স্টেশন নয় ?
বাস্তব বলছে, ছবিটা আজও খুব একটা বদলায়নি ।
ইন্টারনেট খুললেই চোখে পড়বে সারা বিশ্বে ভুতুড়ে স্টেশনগুলির মধ্যে একেবারে পয়লা নম্বরে রয়েছে পুরুলিয়ার অখ্যাত এই স্টেশনের নাম ৷ ভূতের ভয়েই ১৯৬৭ সাল থেকে টানা চার দশক এই স্টেশনে কোনও ট্রেন চলেনি ৷
দক্ষিণপূর্ব রেলের রাঁচি ডিভিশনের পুরুলিয়ার ঝালদা থানা এলাকায় এই স্টেশন । এই স্টেশন ঘিরে রয়েছে নানা গা–ছমছম কাহিনী । তা নিয়েই রয়েছে নানা প্রশ্নও ।
তবে স্থানীয় মানুষ থেকে রেলকর্তারা কেউই বিস্তারিত বলতে চান না । সন্ধে নামলেই ওই স্টেশনের ত্রিসীমানায় দেখতে পাওয়া যায় না কাউকে । স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৫টা ৫০ নাগাদ বোকারো শাখার রাঁচি–চন্দ্রপুরা–ধানবাদ প্যাসেঞ্জার থামে । তার পর আর কোনও ট্রেন থামে না । কারণ রেল থেকেই কোনও ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হয়নি এখানে । একসময় পুরুলিয়ার এই স্টেশনে থামত প্রচুর ট্রেন । সারা দিন মানুষের ভিড়ে গমগম করত স্টেশন । কিন্তু আজ সব অতীত । দিনের বেলাতেও ট্রেন চলে যাওয়ার পর স্টেশনের চারদিক শুনশান । শুধু দাঁড়িয়ে থাকে শতাব্দীপ্রাচীন স্টেশনের পাকাবাড়িটি ।
প্রবীণ সনাতন কুমার বলেন, একসময় বড় স্টেশন অফিস, কোয়ার্টার, এমনকি জমজমাট বাজার ছিল । থামত সব প্যাসেঞ্জার ট্রেন । তার পর হঠাৎ কী যে হয়ে গেল ! লোকমুখে শোনা যায়, বহু বছর আগে একদিন মধ্যরাতে এখানে খুন হন স্টেশন মাস্টার ও তাঁর স্ত্রী । পরে স্টেশনের কাছে এক কুয়োর মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁদের মৃতদেহ । সেই থেকেই নাকি অশরীরী কার্যকলাপের শুরু । ওই ঘটনার পর রাতারাতি পালিয়ে যান রেলকর্মীরা । বন্ধ হয়ে যায় স্টেশনে ট্রেন থামা । শোনা যায়, ওই ঘটনার পর থেকেই ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত এক স্টেশনে পরিণত হয় জমজমাট বেগুনকোদর ।
১৯৬৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এমনই দশা চলে । তবে, এই সময়সীমায় বেগুনকোদর স্টেশন চালু করার কথা যে একেবারেই ওঠেনি, এমন কিন্তু নয় ! বামফ্রন্টের প্রাক্তন সাংসদ বাসুদেব আচার্য এই রেল স্টেশন চালু করার চেষ্টা করেছিলেন । তাঁর যুক্তি ছিল, ভূতের ভয় বাজে কথা৷ গ্রাম থেকে অনেক দূরের ওই স্টেশনে একটাই ট্রেন চলত ৷ সে জন্য কেউ ওখানে কাজ করতে চাইত না ৷ তাই এই ভৌতিক উপদ্রবের রটনা ! তার পর, ২০০৯ সালে ফের শুরু হয় বেগুনকোদরের সেকেন্ড ইনিংস ।
নানা আতঙ্কের মধ্যে স্টেশন ফের শুরু করার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন । তৎকালীন রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বাসুদেব আচারিয়ার উদ্যোগে ২০১০ সালে আবার খোলে বেগুনকোদর স্টেশন, স্টপেজ দেওয়া হয় তিনটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ।
পুরনো স্টেশন-বাড়িটাকেই রং করে খুলে দেওয়া হয় । শুধু প্যাসেঞ্জার হল্ট হিসেবে !
তাহলে এখন ঠিক কী অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে বেগুনকোদর ? এখন কি আর তা পশ্চিমবঙ্গের সব চেয়ে কুখ্যাত ভৌতিক স্টেশন নয় ?
বাস্তব বলছে, ছবিটা আজও খুব একটা বদলায়নি ।
এই ভূতের ভয়েই আজও মানুষ আতঙ্কিত । বারবার নতুন নতুন স্টেশনমাস্টার এলেও ভূতের ভয়ে আজ পর্যন্ত কেউ থাকেননি । ওই ভূতের আতঙ্কেই পালিয়ে যান সব রেলকর্মী থেকে দোকানদার ।
দিনের বেলায় কয়েক জনকে দেখা গেলেও রাতে ফাঁকাই থাকে স্টেশন ।
এখনও স্থানীয়দের মুখে শোনা যায়, রাত নামলে হঠাৎ হঠাৎ এখানে দেখা যায় অদ্ভুত আলো । যত রাত বাড়ে, বাতাসে ভেসে আসে অদ্ভুত সব গন্ধ । মাঝে মধ্যেই নাকি শোনা যায় অশরীরী কণ্ঠস্বর । দিনের আলোতেও বেগুনকোদর মনে ত্রাস সঞ্চার করতে থাকে স্থানীয় লোকজনের । দিনের বেলাতেও অনেকেই নাকি কানের কাছে মানুষের গলা শুনে চমকে উঠেছেন অনেকে । চার পাশে তাকিয়ে কাউকেই নাকি দেখা যায়নি । অনেক সময়ে আবার লোকজনের গা ঘেঁষে চলে গিয়েছে অশরীরী কেউ ! আচমকা ধাক্কা খেয়ে সচেতন হয়েছেন কেউ কেউ । কিন্তু যাঁর সঙ্গে ধাক্কা লাগল, তাঁর দেখা মেলেনি ! এমনই নানা গল্প স্থানীয় লোকজনের মুখে মুখে ফেরে ।
এখনও সন্ধ্যার পর স্টেশন বিল্ডিংয়ের ত্রিসীমানায় দেখতে পাওয়া যায় না কোনও গ্রামবাসীকে । সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ এই স্টেশনে থামে রাঁচি-চন্দ্রপুরা-ধানবাদ প্যাসেঞ্জার । এর পর আর কোনও ট্রেনের স্টপেজই দেওয়া হয়নি এখানে । নেই কোনও রেলের স্থায়ী কর্মী । সন্ধের পরে আর কেউ আসেন না এখানে । এখনও একরাশ ভয়, আতঙ্ক নিয়ে সারা দিন ফাঁকা পড়ে থাকে পুরুলিয়ার বেগুনকোদর স্টেশন । বেগুনকোদর স্টেশন রেলের খাতায় খোলা হলেও বাস্তব অবস্থা সেই একই । ভুতুড়ে স্টেশনের দুর্নামটা কিন্তু যায়নি । পুরুলিয়ায় ঘুরতে–আসা পর্যটকরা একবার হলেও এই স্টেশনে আসেন দেখতে আর স্টেশনের ছবি তুলতে ।
দিনের বেলায় কয়েক জনকে দেখা গেলেও রাতে ফাঁকাই থাকে স্টেশন ।
এখনও স্থানীয়দের মুখে শোনা যায়, রাত নামলে হঠাৎ হঠাৎ এখানে দেখা যায় অদ্ভুত আলো । যত রাত বাড়ে, বাতাসে ভেসে আসে অদ্ভুত সব গন্ধ । মাঝে মধ্যেই নাকি শোনা যায় অশরীরী কণ্ঠস্বর । দিনের আলোতেও বেগুনকোদর মনে ত্রাস সঞ্চার করতে থাকে স্থানীয় লোকজনের । দিনের বেলাতেও অনেকেই নাকি কানের কাছে মানুষের গলা শুনে চমকে উঠেছেন অনেকে । চার পাশে তাকিয়ে কাউকেই নাকি দেখা যায়নি । অনেক সময়ে আবার লোকজনের গা ঘেঁষে চলে গিয়েছে অশরীরী কেউ ! আচমকা ধাক্কা খেয়ে সচেতন হয়েছেন কেউ কেউ । কিন্তু যাঁর সঙ্গে ধাক্কা লাগল, তাঁর দেখা মেলেনি ! এমনই নানা গল্প স্থানীয় লোকজনের মুখে মুখে ফেরে ।
এখনও সন্ধ্যার পর স্টেশন বিল্ডিংয়ের ত্রিসীমানায় দেখতে পাওয়া যায় না কোনও গ্রামবাসীকে । সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ এই স্টেশনে থামে রাঁচি-চন্দ্রপুরা-ধানবাদ প্যাসেঞ্জার । এর পর আর কোনও ট্রেনের স্টপেজই দেওয়া হয়নি এখানে । নেই কোনও রেলের স্থায়ী কর্মী । সন্ধের পরে আর কেউ আসেন না এখানে । এখনও একরাশ ভয়, আতঙ্ক নিয়ে সারা দিন ফাঁকা পড়ে থাকে পুরুলিয়ার বেগুনকোদর স্টেশন । বেগুনকোদর স্টেশন রেলের খাতায় খোলা হলেও বাস্তব অবস্থা সেই একই । ভুতুড়ে স্টেশনের দুর্নামটা কিন্তু যায়নি । পুরুলিয়ায় ঘুরতে–আসা পর্যটকরা একবার হলেও এই স্টেশনে আসেন দেখতে আর স্টেশনের ছবি তুলতে ।
প্রতিদিন সন্ধ্যে নামে । শুনশান হয়ে যায় পুরুলিয়া জেলার সীমান্তবর্তী বেগুনকোদর স্টেশন । একটাও আলো জ্বলে না প্লাটফর্মে । দেখা মেলেনা এক জন যাত্রীরও । শুধু আপ ও ডাউন লাইন দিয়ে একের পর এক ট্রেন চলে যায় । তাদের হর্ন ছিন্ন ভিন্ন করে দেয় স্টেশনের নিস্তব্ধতা ।
তথ্য - ইন্টারনেট ও লোকমুখ
Like our Facebook page facebook.com/puruliatravels & get more amazing story of Purulia.
Like our Facebook page facebook.com/puruliatravels & get more amazing story of Purulia.
Comments
Post a Comment